আমাদের লেখা পাঠান careofsahitya@gmail.com-এ। ভালো থাকুন সকলে। চলতে থাকুক কলম। বলতে থাকুক শব্দ।

প্রচ্ছদ

A SAHITYA-ADDA Initiative C/O:sahitya A BLOG MAGAZIN STAY WITH US THANK YOU
bloggerblogger

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

সম্পাদকীয়ঃ শ্রাবণ-ভাদ্র সংখ্যা, ১৪২১ পবিত্র আচার্য্য



     প্রতিদিন গাজায় যা ঘটছে তা দেখে মুখে কুলূপ এঁটে ফেলেছে সুহৃদ নাগরিক সমাজ। এর মধ্যেই টালবাহানায় রয়েছে বহু দেশ ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কথা ভেবে। ঠিক করে ভেবে উঠতে পারছে না এই মুহূর্তে বিদেশ নীতি কি হওয়া উচিৎ? 
আমাদের মাননীয়া বিদেশ মন্ত্রী বন্ধু দেশের সমালোচনা এক্কেবারেই বিশ্বাস করেন না। মিত্রদেশ সম্পর্কে কোনরকমের অবমাননাকর কথা বলাই যেন ঠিক নয়। তাই সাংসদে অধিবেশন চলাকালীন এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করার অনুমতিই পায়নি রাজনৈতিক বিরোধীরা। দেখেশুনে সারা দেশবাসী ভাবলেন সরকার ইজরায়েলের পাশেই আছেন। 
অথচ কয়েকদিন পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের মঞ্চে ইজরায়েলের অনৈতিক সামরিক অভিযানের বিপক্ষে ভোট দিলেন অন্যান্য ‘ব্রিকস্‌’ দেশের সঙ্গে। এই সমারসল্ট এর কারণ বোঝা সত্যিই দুষ্কর! কোন নীতিবাদ এর ধ্বজা ধরে সরকার বসে আছেন? 
এই ইজরায়েলই কিনা, রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হওয়ার জন্যে ভারতের আবেদনকে সমর্থন করে না। তবে কেন সরকারের এই বন্ধু প্রীতি? প্রকাশ্যে মুখ খুলতে এতো কুণ্ঠাবোধ? ভারতবর্ষের এই আপাতবিরোধী অন্তর্বিরোধের হেতু বোঝা যাচ্ছে না কিছুতেই। 
পোখরান বিস্ফোরণের পর যখন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদ ভারতকে তুলোধোনা করার কথা উত্থাপন করেন। ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় ইজরায়েল তাতে ভারতের পাশেই ছিল। এই হৃদ্যতার কথা মাথায় রেখেই বোধহয় পার্লামেন্টে এইরকম আচরণ। তাছাড়া দেশের সুরক্ষার দিক থেকে, অস্ত্র আমদানির ব্যাপারে ভারত অনেকটাই নির্ভরশীল ইজরায়েলের কাছে। ইসলামি সন্ত্রাসের প্রশ্নেও ভারত ইজরায়েলের বন্ধুত্বপূর্ণ সমীকরণ অত্যন্ত জরুরি। 
          অন্যদিক থেকে ভাবলে এটাও ঠিক অস্ত্র ব্যবসার ব্যাপারে ইজরায়েলই অর্থনৈতিক বাজার ভারতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অন্তত ইজরায়েলের অস্ত্র রফতানির পঞ্চাশ শতাংশ এ দেশেই আসে। তাই মানবিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে অন্তত ফোঁস করার কথা ভাবলেও ভারতের চলত।  
          এই অগ্নিগর্ভ বিদ্রোহে যেখানে মৃত্যুর ঢল পড়ে যায় সেখানে শুধুই সুবিধাবাদ এসে নাড়া দেবে? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশের কাছে এটাই কি আশা করা যায়? এত সব অশান্তি আর অস্থিরতা কাটিয়ে জীবনের মূল্যবোধ ভাবার সময় বোধহয় এসে গেছে আমাদের সামনে! আর কতদিন চলবে এইরকম ধ্বংস মৃত্যুর খেলা? নাগরিক সমাজ কবে বুঝবে জীবন নাশের প্রশ্নে আপসের নীতি বন্ধ হওয়া উচিৎ। অন্যথায় সারা পৃথিবী অতুল বিশ্বাসে দেখে যাবে অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে ফুটে উঠবে কবন্ধের নৃত্য। 
          পরিশেষে, আজ এক বিশেষ দিনে প্রকাশিত হতে চলেছে আমাদের ব্লগ। সবাই আমরা আহ্লাদিত স্বাধীন বলে। সবকথায় ‘হ্যাঁ’ না মেলাতে পারলে দেশদ্রোহী হওয়ার তকমা থেকে নিজেকে বাঁচানোর কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে হাঁটছি আমরা। এই মহৎ ‘স্বাধীনতা দিবসে’ দেশের সুশীল স্বাধীন নাগরিক হিসবে আমরা কি চেয়ে নিতে পারি না আমাদের কলমের অধিকার। অন্ততঃ উচ্চারণটা সফেদ হতে পারে? মানুষের ভাবনার মধ্যে ‘রাজনৈতিক ভিন্নস্বর’ খোঁজার মহাযজ্ঞ বন্ধ হতে পারে।                                    
                                                   পবিত্র আচার্য্য
                                                  ২৯শে শ্রাবণ,১৪২১ 

কবিতাঃ রবের আকাশ / বারীন ঘোষাল



বিজনের কলকন্ঠ শুনতে চেয়ে ফোন করি তোমাকে
তুমি কল খুলে দাও
                 নদী
                      জল নেই
                                রঙ
#
রব-এর আকাশ
                 আকাশের রবে
ঢেউ দোল দোল ফিরে যায়
পুরো মাস্তুল
             আধো স্তন
অপলম চপলম প্রজাপতি আর থামে না
#
তার দুপাতা পাখার কোনটা আয়না
                                  না মালুউউম
#
এই পরীর সোনা যে কোথায় খোয়া যায়
এখন এই জাদুয়ানাটায় হাড় পরাবে কে ছোঁয়াবে

কবিতাঃ নুড়িপাথরে প্রশ্নচিহ্নগুলি / ঈশিতা ভাদুড়ী


রেললাইনের ওপর ভন্ডুল শরীর, বিচ্ছিন্ন হাঁটু ।
নুড়িপাথরে ডিগবাজি খায় প্রশ্নচিহ্নগুলি…

উদাস হাওয়ায় ছিল কি কুপ্রস্তাব কোনো ?
ছায়া-অন্ধকারে ছিন্নভিন্ন হাসি গতকাল ?

সাঁকোর ওপরে দু-এক ফর্মা জীবন ? ছিল কি ?

কবিতাঃ ছায়া/ জুবিন ঘোষ



ছায়ারা আমার অন্ধকারের বন্ধু হতে পারেনি 
আলো চাই, আবছা অথবা খুব আলো
নইলে ছায়ারাও আসে না 
#
লিখতে গেলে দেখি ছায়াটাও আমার সঙ্গে কবিতা পড়ছে
যে কোনও আলোর পেছনে গেলে ছায়ার ওপর আমার অভিমান হয়
ছায়ার সঙ্গে তুমি যুদ্ধ করবে কিনা বলে দাওনি
ছায়া ডেকে এনে হাত দিয়ে
দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা ডাইনোসর
                 সেও কি যুদ্ধ করবে ?
অথচ ডাইনোসরটি যেকোনও সময় খরগোস বা,
সাপ হতে পারে, ছোবল হতে পারে 
অবচেতনে আলোর পাশ গেলে
ছায়াটা কতবার আমি হয়ে যায় 
আবার ছায়াটা চাইলেই কবি হতে পারে না
আশেপাশের আলো তাকে ঘিরে রাখে

কবিতাঃ দুটি কবিতা / অব্যয় অনিন্দ্য

দুরত্বের উঠানে দুঃখ-সুখ 

ঝিকমিক করলেও নিয়ন বাতি দুঃখ-রাতের তারা হয় না
দূরত্বের যতি ঠোঁটে নিয়েই তারারা সমব্যথী হয়
ছুঁতে না পারার বেদনা কান্নার পড়শি হয়ে যায়
দূরত্বের সাথে দুঃখের এই সমানুপাতিক সম্পর্ক নিবু মানেনি
কাছে আসাতেই নাকি আরো চাওয়ার ফাঁদে
উঠানো-আমি আটপৌরে বেদনা হয়ে গেছি
নিজেকে অচেনার দূরত্ব বেয়ে নিজেই দুঃখ হয়ে গেছি

কিন্তু দুঃখ যাদের শিথানে-পৈথানেই আজীবন
তারা দুঃখের সাথে দূরত্বের দূরত্বকে মাপতে পারেনি;
মাপার স্কেলটা চুরি করে কিছু সেমিনারজীবি
তাদের নাম দিয়েছে প্রান্তিকজন
ছোঁয়ার নাগালে থেকেও তারা আকাশের তারাদেরও দূরতম প্রান্তে
তাদের দুঃখ নিয়ে কা-কা করতে করতে
দুঃখ-বিলাসীরা মানবতার ভাগাড়ে পৌঁছলে
কবি নাম পায়

দুঃখের গল্পে সুখকে না আনলে
সুখ পাণ্ডিত্যকে আড়াল করে ঝুলে থাকে
আহা, সুখ
আমার ভাদ্দরবউতোমার পরস্ত্রীআর ঈশ্বরের আপেক্ষিকতা


 ছায়া-পূজা

আলোর অক্ষমতার যন্ত্রণাকে কে যেন নাম দিল ছায়া
এই ক্ষোভে কুলবতী আলো সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরে না
দ্বাররক্ষী ওজোনের খিল হাট হলে
পৃথিবীর সাথে বউছি খেলতে খেলতে তাপ হয়ে যায়
মেরু তুষারকে করে জ্যোৎস্নার কান্না
সমুদ্রকে দেয় ঘর ভাঙার পাসওয়ার্ড 

কুলবতী আলোর ক্ষোভে কুলনাশ নিয়ে
আমাদের ম্যা ম্যা কূটনীতির বেডরুমে পৌঁছবে না   
কূটনীতির টাইয়ের নটে অনেক আলো
উত্তরাধুনিক আলো, ধার্মিক আলো,
সাম্যবাদী আলো, গণতন্ত্রী আলো
এত আলোতবু
কমসংখ্যকদেরকে অন্ধকার ছুঁড়ে দিতে
নিরন্তর ছায়া-পূজাই করছে লক্ষ-কোটি পেঁচা

সবখানে আলো পৌঁছার প্রত্যাশা নিয়েই সূর্য
হিলিয়ামে পুড়ে পুড়ে পৃথিবীর বুকে দুধ জোগায়
তবুও মানবতার সামনে কেবল ছায়ারই রাজত্ব

কেবল পেঁচাদেরই হুলুধ্বনি

কবিতাঃ তুমি কিন্তু কথা দিয়েছিলে (আনা দি- কে) / সুপ্রিয় মিত্র


শীত এবারেও আগে থাকতেই কলকাতায়
বসন্তকে আবহাওয়ার দপ্তর ছেড়ে দিয়েছে।
পলাশের কুঁড়িতে এখনো ভোরের ঘুম ছাপ। ছড়ানো
ছেটানো গাছের বস্তিগুলোয় পাতাদের শিরশিরানি । হাই তোলার প্রকোপ
বেদুইন হাওয়া , কী হিসেব করে উল্টে দিয়ে চলে যাচ্ছে
ক্যালেন্ডার ...  কোকিলের কাছে, সকাল হতেই সময় চেয়ে নিয়েছে
সম্প্রতি রাজ্য ভ্রমণে জাপানী রাস্ট্রদূত, ব্রিগেড, শ্লোগান !

এসব বাসন্তী টানাপোড়েন লেগে আছে শহরে। আমারও যে
সবসময় তোমায় খুব মনে পড়ে... তেমন তো নয়... এই তো সেদিন
খেয়াল হল। বইমেলা যাই। আনন্দ পাবলিশার্সের সামনে দাঁড়াতে
বলে তুমি আচমকা ধাপ্পা দেবে ঠিক আগের বারের মতো। কিন্তু, জাস্ট পারলাম না।
আর কতবারই বা ঘাড় ঘুরে তাকাবো পেছনে , অতীত আমার
স্পন্ডেলাইটিস করে ছাড়ল। অথচ , শুধু সামনে তাকিয়ে হেঁটে যাওয়াটাই তো
আর যাই হোক জীবন নয়। সব আঙুল ফস্কাতে ফস্কাতে শিশু বৃদ্ধের মতো
কড়ে আঙুল চেপে ধরা একে অপরের... সে ব্যাথা কে অস্বীকার করবে,
আমায় কেউ বলে দিক
যেদিন, হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে পাশের বাড়ির তিন্নির মতো
হাপুস চোখে কাঁদলে – ভালো থাকিস ... লেখালিখি চালিয়ে যাস... একাকীত্বে মন দে আরও...
এসব কে বলতে পারে... তোমার জয়েনিং লেটার এসে গেল
আমিও কিছুতে মন দিতে পারলাম না... কুকঁড়ে বসে
কবিতা লিখলাম, গল্প পুষলাম, একটা বেয়াড়া উপন্যাস কয়েকদিনের
জন্যে এল। পেটে চালান করে চলে গেল অজস্র রাত। বলে গেল। ফিরবে না।
ক্রমশ এখানে প্রখর হচ্ছে রোদ । রোদে মাথা ঘুরে বিকেল
অর্ধেক আকাশে কাটা কাটা ছানা মেঘ বমি করে ছিটকে যাচ্ছে গাঢ় অন্ধকারে ।

তাদের কি আর রাত বলা যায় গো...
শুনেছি, অজানা রোগের সিম্পট্যোমের মত অকালেই
তোমার বয়স খেয়ে ফেলেছে আর বাকী বিকেল... হুমমম... বড় ক্ষুধার্ত এই সময়।
আহা ! মনে পড়ে ঐ ক্ষিদে কে পেছনে রেখে একটু ওপরের দিকে তাকালেই
অনাবিল হাসি। এসপ্ল্যানেড ভরে যেতো । সেবারে এলোমেলো হাঁটতে হাঁটতে
আমরা ও একগুচ্ছ ভাইবোন পার্কস্ট্রীটের অলিগলির ভেতর কলকাতার সন্ধ্যাকালীন
কুয়াশার মত হারিয়ে গেলাম।
সেই শেষ দেখা...
তারপর খেয়ালের উড়ালপুল... উড়ালপুলে খেয়াল...
তোমার অফিস কে ঘিরে রাখে স্বচ্ছ কাচের দেয়াল। এও নাকি একরকমের
লড়াই ... অথচ মসৃণ চাকা... তুমি টেবিল থেকে টেবিল ঊড়ে বেড়াচ্ছ...
বাবু , কাচের দেয়ালে যে নোনা ধরে না !

সে তুমি কী করে ভুলে গেলে !

রাগ কোরোনা আনা দি... এ হৃদয়ের ঘর বড় পাথুরে , কাচের বাইরে
শিবালিকের মতো... এ কান্না মৃতপ্রায় ঘাঘরা নদী ... ওখানেই
সমস্ত অপেক্ষা ধ্যানে বসে আছে... জীবিত কিনা চিনতে দেরী হয়।
আমার বুঝতে আর সময় লাগেনি...
তুমি কিন্তু কথা দিয়েছিলে
এভাবেই নিখোঁজের পাতায় হারিয়ে যেতে যেতে   হঠাত একদিন
দুই শহরের ঠোঁটের মাঝে অবিভক্ত তেষ্টা হয়ে  ছড়িয়ে পড়বে...

কবিতা তোমায় ভালো রাখেনি...

তুমিও ছেড়ে কথা বোলো না কিন্তু

কবিতাঃ এবং বিবেক / বনানী সমাদ্দার


রেটিনায় স্যাটেলাইট "কোরোনা"
তবুও আঁটি বাধা ব্যর্থতা !    
আদিম সে ভবিষ্যদ্বাণী সোঁদা গন্ধতে আজ ,      
নাম রেখেছিল -- "গুঁড়ো ম্যাগমার ফুল"।

চাঁদ সমান আলো তাও ঢের কম !  
কণ্ঠের পশ্চাদ্‌ভাগ ঘুরিয়ে 
দেখে মহাদেশ-কাণ্ড, ক্লাইম্যাক্সে --
সযত্নে মৃত পাঁচিল । দিব্যি চুপচাপ !       

রূপকথার পিপেতে বিবেক 
চোখে স্বপ্ন কাঁঠালের আমসত্ত্বের !    
সবটাই ইন্দ্রিয়ের ব্যাপার । 
মধ্যমণি যে '৪৭ এর সেই আড়চোখ !

এত হাতছানি ! তবুও এক পশলা বিশ্বাস  
জীবন-হৃল্লিতে । ফেরাতেই হবে এ-পৃথিবীতে 
আলোর ঘ্রাণ, কর্পূর চেতনার  
এবং ... এবং বিবেককে ।

কবিতাঃ ভ্যাসেকটমি / সুমন্ত চ্যাটার্জী


আস্তিন গুটিয়ে বসে মহাফেজখানা,
শতরঞ্জের সাঁড়াশি বিন্যাস
উলুখাগড়া এগিয়ে দেয় একধাপ,
মাত্র এক ঘরের চালে
টালমাটাল লাখো চালের ঘর
নাভিশ্বাস নেয় চপ্পলের সুখতলায়-
ভাবনারা এ ছক থেকে সে ছক
শুকনো আলজিভের হয়রানি শেষে
কলারওয়ালা ঘোড়া
তক্কে তক্কে এক-দুই-আড়াই
মেপে নেয় রক্তনদীর জোয়ার,
খাপে খাপ বসার আগেই
তুলে নে তোর যাবতীয় ভুলচুক,
স্বীকার কর্ কে আসল শিকারী,
কেননা এ জঙ্গল জানেনা

ঠিক কোথায় থামতে হয়!
CSS Drop Down Menu
আমাদের লেখা পাঠান careofsahitya@gmail.com- এ মেল করে।