আমাদের লেখা পাঠান careofsahitya@gmail.com-এ। ভালো থাকুন সকলে। চলতে থাকুক কলম। বলতে থাকুক শব্দ।

প্রচ্ছদ

A SAHITYA-ADDA Initiative C/O:sahitya A BLOG MAGAZIN STAY WITH US THANK YOU
bloggerblogger

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৪

সম্পাদকীয়ঃ বৈশাখ,১৪২১

বৈশাখ, ১৪২১                                                 প্রথম বর্ষ ,প্রথম সংখ্যা                                                   প্রচ্ছদঃ সৈকত মান্না 
                         
                        ন্ধকারের হাত ধরে ছায়াপথ বেড়েই চলেছে অদৃশ্যের আড়ালে ঝুলো ধরা তেলচিত্রে আটকে ধরেছে বিকলাঙ্গ মানবিক চেতনা ছোট হয়ে আসছে জীবন সলতে সাহিত্য যেন মানুষের জীবনে তেলের মত, যা ফুরিয়ে গেলে বাতি নিভে যাবে নিশ্চিত

                        এগিয়ে
চলছে সময়ের পথ গতিময়তা আছন্ন করছে জীবন সত্যকে রিমোটের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলছে যন্ত্রবৎ মানব শরীর। ক্ষয়ই জীবনের পথ। তাই ফুরিয়ে যাবার দিনও অনতিদূর। এই দৃশ্যমান অন্ধকার প্রেক্ষাপটে  নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র মন্ত্র হোল সাহিত্য চর্চা কর্মব্যস্ত জীবন থেকে স্বল্প সময়ের অবসর-কুঁচি যা পাওয়া যায়, তাই কবিতা, গল্প পড়ার জন্যে নিয়োজিত করে বেঁচে থাকার রসদ হিসাবে খুঁজে নেয় সাহিত্যপ্রেমী মন বই এর পাতা উল্টাতে উল্টাতে ফুসফুস ভরে ওঠে অক্সিজেনে যে কোন সাহিত্য অন্ধকার থেকে সরে এসে আলোর পথে বিশ্রাম সাহিত্যে মানুষ উপলব্ধি করে নাড়ির বিশুদ্ধ জোর।  

                    কেয়ার অব সাহিত্যে বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যের বাহক হিসাবেই গড়ে তুলতে চায় নিজেকে। একটা সুপাঠ্য সাহিত্য খাজানা। গঠনশীল স্বকীয়তার অদম্য ইচ্ছাশক্তির তাগিদে আমাদের পাতায় ফুটে উঠুক তরুণ প্রজন্মের ফুল সাথে বট বৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে থাকবে কিছু গুনি মানুষের ক্লাসিক লেখা নবীনে প্রবীণে ভরে উঠুক লেখার কারুকার্য পড়তে পড়তে এক আকাশ ভালোবাসা বেড়ে উঠুক পাঠক মনে আমাদের প্রতিটি প্রয়াসে দরজা খোলা রইলো বর্তমান প্রজন্মের জহুরিদের জন্যে প্রতিটি সৃষ্টির সাথে লেগে থাকুক আত্ম শনাক্তকরণের মৌলিক প্রয়াস। ভাষাবৃক্ষের অমৃত জল পান করুক সাহিত্য পিপাসু মানুষ।

                     পরিশেষে এই মাস বাঙ্গালির সাহিত্য মননে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এটি কবিপক্ষ হিসাবেই স্বীকৃত সাহিত্য ক্ষেত্রে নিঃসীম সাগরের ভাবনায়, এই অকৃত্রিম দান যে মানুষটি করেছেন তার নাম ব্যতিরেকে  আমরা সাহিত্য ভাবতেই পারি না আমাদের রক্তে মিশে গেছে কবিগুরু, আমাদের হৃদয় মন্দিরে প্রতি বেলার ভোরে সূর্য হিসাবে উদিত হন রবি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল বাঙ্গালির নববর্ষ উৎসব প্রিয় বাঙ্গালির তের পার্বণের শুরু হয় এই মাসের দরজা দিয়ে আর সেই দরজা দিয়ে পৃথিবী দেখার এক ছোট্ট প্রয়াস আমাদের এই সংখ্যা আমাদের এই সংখ্যা, পাঠকের অন্তঃকরণে স্থান করে নিক আলোর দিশারি হিসাবে
                     
                     “দারুণ অগ্নিবাণে রে” – এই রুদ্র বৈশাখের দিনেতব ক্লিষ্ট তপ্ত তনু মুখে তুলে নিয়ে ভীষণ ভয়াল”- দহন দিনে পুড়তে পুড়তে হাঁপিয়ে ওঠার আগে সকল পাঠকের জন্যে বয়ে আসুক হিমেল বাতাস এক সাথে গেয়ে উঠিএসো হে বৈশাখ, এসো এসো তাপ নিঃশ্বাস বায়ে...”

                  সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনায় আমরা আর কেয়ার অব সাহিত্য জাগ্রত থাক আপনাদের মনে সব সময়ের জন্যে     


                                                                                                                     পবিত্র আচার্য্য                                                                                                                       ১লা বৈশাখ ১৪২১ 

কবিতাঃ চিঠিপোড়া / বারীন ঘোষাল


শেষ তক চিঠিহীন মানুষকে ডাকলো না এক দুই শারীরিক চিঠি
ডাকবাক্সটাই তার লালাল্লা দেহ
হোহা ডাকে
ফিজায় গামা

         বিটা
               রো
                     না
হটতে হটতে হটেনটট জুজুত্তাময়
কেয়াবাত

#
শুধুমাত্র জামায় জানা ফান্টুস
কালোয়ান মোবাইক

          রেত রতিনা গগলস
                             
                           খালি পিলিয়ন
এসব আমাদের ছোটবেলাকার
যতবার নিমগাছটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি
রেললাইনে কান পাতার দিন
ফুলশয্যার রাত
কু-উ তোলা বিষাদের পাঞ্চ
                      এসব আর কি

#
আমিই সেই মানুষ

                          আমিই চিঠি
 
                                         মতোনীড়ের অংক
তোমরা আমাকেই লিখো আমাকে
                        
                                    আর মঞ্চে পড়ে নিয়ো
আগুন জলের বাইরে চোখ গ্যালো চোখ
গ্যালো
ইমোশনের ইলেকট্রনেরা ব্রেক মারছে ঘুমোবে বলে
সেই শব্দে পুড়ছে চিঠি গুলো              

কবিতাঃ জল পড়ে পাতা নড়ে / প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়



--খন্দ যেমন থাকে খঞ্জের ফাঁদে
তোমার বিরহ সেইরূপ--
এই কথা লেখা হলে , বাগ্দেবী পিছনে তাকান
কিতাব ভীষণ ভারী , তার থেকে -বুকই ইঁদুর
আঙুলেই নেমে আসে সমান্তরাল অক্ষর

তোমার পাথেয় ছিলো ভুল পথ তাই আর মিছিলে হাঁটো না
ক্লেশ ছিলো রাজবেশ কুকুরের যেমন এঁটুলি
অন্যথার ঘোড়াগুলি ঘাস খেয়ে উধাও হয়েছে
আস্তাবলের ঝুল তুমি দ্বার তুমি দারোয়ান

সব পথে আলো থাকে এমনটি না হওয়ারই কথা
প্রেমিকার পাশে প্রেম এবং শরীর নিয়ে ব্যথা
মাতাপিতা রান্নার গ্যাস নিয়ে অধুনা পীড়িত
মোবাইলে কথা কমে , লাগে টাকা সেনবাবু মৃত

তোমাকে কবিতা বলে সে কোন তরুণী রাত জেগে
তুমি তার পাশে শুয়ে স্বমেহনে রত হতে চাও !
এভাবেই কাছে আর দূরে থাকা ঢেউবালি যায়
সবকিছু নশ্বর এই বোধ কান্না জাগায়

পিঁপড়ে সরণী থেকে কয়েকটি গান ভেসে আসে
কথাসুর পাল্টায় আবেদনে মোটামুটি এক
সেই জোলো ভ্যানতারা, ওগো তুমি কোথায় পালালে

একাডেমী কবিকুল বাংলাবাজারে ল্যাজ নাড়ে

কবিতাঃ সোনা বউ / কাজল সেন


খুব কাছ থেকে দেখা সোনা বউ
আমার হাতে তুলে দিয়েছিল সদ্যজাত লাল হলুদ ঘুঁটি
উদ্বাস্তু ছায়ারা তখন ছিল আমাদেরই আশেপাশে
ঝোপে ঝাড়ে গভীর হয়ে উঠেছিল
কালোর পাশে তার সাদা রঙের দোসর

এই ডাঙায় বনভোজন হয়েছিল সেদিন
উড়েছিল রকমারি বেলুন
ধনেখালির নীল ডুরে শাড়ি
সবুজ বনবাংলোর ছবি আঁকতে বসে
এলোমেলো কদমগাছ
শেষ রাতের সঙ্গমসুখ

যেমন ভোরের বৃষ্টি যেমন তোমার বুকের সোঁদা গন্ধ
নিপুণ হাতের কারুকাজে খুলে ফেলা তোমার খাসমহল
টাটকা নদী সুবর্ণরেখায় অনেক হাবুডুবু বাথান
রাঙা মামীমার তলপেটের মায়া

সোনা বউ নিভাঁজ পাতার শব্দে মিশিয়েছিল শীৎকার
যারা উড়োপাখির বংশানুক্রমিক খবরাখবর রাখে
সরণি থেকে সড়ক বেয়ে ওড়ায় উড়োজাহাজ
সোনা বউ চাঁদের নরম মাটিতে আঁচল ছড়িয়ে

খুব কাছ থেকে আমার মুখে তুলে দিয়েছিল সদ্যজাত দুধের ভাঁড়ার 

কবিতাঃ অবিশ্বাস বিড়ালের নূপুর / কচি রেজা

যে-রাজহাঁসের ঘরে আমি ঘুমাই তার দরজা জানালা নেইএতযে
অন্ধকার রক্ত থেকে শীত যায়  না তবু   ব্রহ্মান্ডের বাতাসে দেহ পুড়ে  
যায় আমার চোখের পাথর ভিজে ওঠেযে-ভোর বেজে ওঠে নক্ষত্র  
হাতে নিয়ে তোমারও অপেক্ষা

যে-নদীতে ভেলা সেখানে পাখির কবরযে-কবরের ঘরে বুনো ঘ্রাণ  

অন্ধকারের টানে জগতের মর্মে কত জোয়ার ভাটা ,  আমার কান্না  
কিন্তু নীচু হয় আর গ্রহ বুঝিনা বলে নীলা মানায় না আমাকে , অন্ধকারে
তোমার আঙুল কিন্তু বুঝি কত চাঁদ পেরিয়ে আসোবৃক্ষ খুলে নিয়ে  
এসেছো চাঁদ ,  চাঁদের রক্তে ভেসে যায় সকাল ঢেউ চিনিনা বলে কি  
ভাসান হবে না কোনো পাখির ?

শাদা শাড়ি পরে বেহুলা হয় যদি কোনো পাখি , এই পৃথিবী শুয়ে থাকে
বেহুলার কোলে প্রথম বিধবা সেই পাখির জন্য নির্দেশ হয়েছিল  

শাদা রাজহাঁসের যে-ঘরের দরজা জানালা নেই

কবিতাঃ বঙ্গীয় বাদুড় / অনুপম মুখোপাধ্যায়


পেয়ারাফলের অন্ধকার
 আর
অন্ধকারের পেয়ারাফলের মধ্যে
সী       মা
ভাঙছে
রক্ত নয়
রস চুষে বাদুড়গুলোর ঘরে ফেরার ধারণা
হাতে à হরাইজন à হত্যাকারীর à ছুরির à মতো à নয় à
কাটছে
কথাগুলোকে
বিনয়ী বৈষ্ণবের
ঘরে ছাড়ার খোল
ধারণা

কবিতাঃ মৃত্তিকায় রেখেছি পা / ঈশিতা ভাদুড়ী


বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রোদ্দুরকে ছুঁয়েছি আমি
আর, রোদ্দুরে পুড়ে যেতে যেতে ঝড়কে এনেছি ডেকে 
সেই ঝড়ে উড়ে উড়ে রামধনু এঁকেছি তখন 
আর, রামধনুর রঙে মিশে মিশে অন্ধকার ছুঁয়েছি আমি
সেই অন্ধকারে মিশে যেতে যেতে জ্যোৎস্নাতে করেছি স্নান
আর, জ্যোৎস্নাতে ভেসে ভেসে কেঁদেছে আকুল প্রাণ

 কান্নায় ভেঙে যেতে যেতে, কান্নায় ভেঙে যেতে যেতে
           ভোরের আলোয় জেগেছি কখন
আর, ভোরের আলোয় হেঁটে হেঁটে নদীর জলে ডুবসাঁতার
নদীতে ডুবে ডুবে, নদীতে ডুবে ডুবে 
             মৃত্তিকায় রেখেছি পা কখন

আর মৃত্তিকা থেকে গন্ধ জীবনের
        উঠেছে ভরে সারা আকাশ

কবিতাঃ উত্তর আমেরিকার শীত/ আষিক


অসুখ করেছে।
তাই ছড়িয়ে দিয়েছ ভিডিও সংক্রমণ

সসপ্যান থেকে আকাশের দিকে
ছুঁড়ে দিচ্ছ টগবগ করে ফুটতে থাকা জল
আর মুহুর্তের মধ্যেই
ধুলোর মতো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে বরফ
কাউকে বলছ না, ঠান্ডা জল ছুঁড়ে দিলে কী হতে পারে
কেবল হাবেভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছ

গরম যতই বেশী হোক

ঠান্ডা করে দেওয়াটা তেমন কোনও ব্যাপারই নয়।

কবিতাঃ লিখন / সুমিত রঞ্জন দাস


আমাকে শৈশব ফিরে দাও, আর দাও
এক আঁজলা শিউলি ভরা ভালোবাসা

সহস্র বছর গদ্যময় পৃথিবীতে বেঁচে আছি
পঞ্চকোষী প্রেমের জোৎস্নায় স্নাত হয়েছি প্রতিদিন
কেবল সরলরেখার শেষে মৃত্যুর হাতছানি ভুলতে চেয়ে;
একটা গর্বিত জীবন, গুটি কয়েক মেডেল আর কয়েকশো হাততালি
নাংটা শিশুর হাত-পা ছোঁড়া আস্ফালন হয়ে রয়ে গেছে

ভুলেই গেছি -

এসব ঘটনায় তিরোধানদিবস কখনো বদলে যায় না।
CSS Drop Down Menu
আমাদের লেখা পাঠান careofsahitya@gmail.com- এ মেল করে।