[ এটি মুরশিদাবাদের
পশ্চিম পারের
ভাষা বীরভূমের
প্রভাবে প্রভাবিত]
বুজলেন বহিন
তখুন আমড়া
কঠ্ঠিন
গ্যাঁইয়া ছিল্যাম। কেহু
যদি কলকাতার
গল্প বুলতো
আমড়া লক্
করে তার
কথা শুন্ত্যাম্।আর বুজত্যাম
কলকাতা হল
গিয়্যা পিথিবীর
স্যাস।শিবা ছুঁড়ি
তখুন কলকাতার
বাবু দের
বাড়ি গেলছিল
পেট-ভাতের
কামের লেগে...
উ এসে
বুললে কলকাতায়
বাবুরা ঘরে
হাগে আমাদেড়
মতুন মাঠে
যায় না
...সুনে কি
হাসি।
তা ছুঁড়ি
পালিং এলে
...জিগালাম চলে এলি ক্যানে?বলে কলকাতায়
মুছুন্মান
আর হেঁদু
তে ড়ায়ট
লেগ্যাছে...লক জন কে কচ্
কচ্ করে
কাটছে... ।উ খাটা
পায়খানায় লুকিং
ছিল... তিন
দিন পর
জখুন “গুজিমাতুন
গুজিমাতুন” বলে খুব চিৎকার হলছিল
তখুন শিয়াল
ইস্টেশনে এসে
টেরেন্ ধরে
বাড়ি আসে
।এখুন বুজি গুজিমাতুন হোল
গিয়া “বন্দে
মাতরুম”।
আমদেড়
গেরামে তখুন
এক মুছুন্মান দোস্তো
ছিল আমাড়। পাশের
গেরামের ইহাসান...
কি যে
হ্যালসা ছিল
কি বুল্বো। আমি
অকে বুল্লাম
“ইটা তু
ঠিক্ করিস
না ইহাসান...
হাটে বুহ্ড়া মহিষ
গুলাকে জুয়ান
বলি ব্যাচও
আর মা
কালীর নামে
কিড়া খ্যাও...”
।খানিক বিড়ি ফুক্ফুকালে
তারপর বুললে
“দ্যাখ ড়াখু
মাকালীর নামে
কিড়া খেলে
হামাড় গুনাহ্
হবে না। জেমুন
তু যদি
আল্লার নামে
কিড়া খাস
তেবে আল্লা
তোর এঁহি
পাবে না।”। আমাড় বউ মড়ে
গ্যালো
তিন দিনের জ্বরে। ইহাসান
বুললে “ তু
আবাড়
বিহা কড় ...এমুন শুক্ন্যা
কাঠের মতুন
জীবুন লিয়ে
কেমুন করি
থাকবি” ।দিনের ব্যালা
ভুঙ্গে কাম
করি রেতে করি জাগালদারী।
ইদিকে বেটা
আমাড় লক্লক্ কড়ে
বাহড়ছিল।
ভাতারখাকীর মাঠের পারে ছিল সড়কারি ইশকুল
...লিয়ে গেলাম।ছেল্যাটো
আমাড় পড়া
লিখাকরে
এক্তু বাবুদের মতুন হবে। শালা
ঝ্যাঁটাখেকো ম্যাসটার লাথি মেড়ে একদিন
তারিং দিলে,
বুললে “ শালা
মালের ব্যাটা
... ছাগল চড়া
গা।”আমি ও
জাতা মাল
লই আমি
ড়াজমাল।
ইহাসান কে
বুল্লাম মৌলবি
সাহাবের কাছে
লিয়ে যাবার
লেগে।
ছেল্যাটো কে
উনি জ্যাগা
দিলেন।
ছেল্যা মুন
দিয়্যা পহ্ড়া কড়ে
আমাড় মুনে
এক্তু জু
হয়।
“তা পহড়া
লিখা ঠিক
কড়ে হছে্
তো বাবা”
জিগ্যাল্যাম। রোগা কেংঠি মাথা
লেড়ে বুল্লে
, “হছে বাবা...
কিন্তু ডাড়িতে
... রশুন রশুন
গন্ধ” ।একবার হাটে
কুমল মাজি
একখান গোটা
কাঁঠাল দিলে
খাবার লেগ্যে। বেটা
তখুন ৬
কেলাস পাস
দিয়াছে। ঘাড়ে কড়ে ঘরে
ফিড়বার সুময়
কাঁঠালের গন্ধে
লেসাখোরের মতুন অবস্থা। বেটা
বুল্লে “ ছোট্
পুখুরের পাশের
ডাঙ্গায় গিয়ে
উটাকে ভাঙ্গি
চল বাবা।”কুনো
দিকে কুনো
খেয়াল নায় খুব খেচি।
প্যাট্ জখুন
উকুন মাড়ার
মতুন হল্ছে তখুন বুজলাম
চারিদিকে কেমুন
গু গু
গন্ধ।
আড়ে কি
ঘিন্না কি
ঘিন্না সাহা
পাড়ার সব
শালারা উখানে
হাগে।
কাঁঠালের বিছন
গুলা আর
লিয়া হোল
না।ইহাসান কে
বুল্লাম ... উ হ্যালসা বুল্লে.. “কটা
কলার পাত
নিয়ে গেলেই
ঘিন্না পেত্যা
না...
”।“কি বুলছিস
কিছু বুঝি
না”... আড়ে
রাখু কলা
পাতে গু
গুলান ঢেকে
রাখ্ত্যা
...।। শ্যালা কে পুঁতে ফেলতে
ইচ্ছা হলছিল।
সাগড়
ডিঘিড় ইস্তেসনে
একদিন ইহাসান
খেলে মার। উ
নাকি কুন
মেয়া ছেলার
পাছায় হাত
দিয়াছে।
সারা গেরামের
মানুস গিয়ে
ভিড় লাগালে
অর ঘরের
মুখে।
সারা দিন
পর জখুন
এক্তুন ফাঁকা
হলও ... তখুন
জিগালাম “ দু ঠো বিবি ঘরে
...হারামজাদা ...খুব চুলকানি তুমার ...শ্যালা।”
“ সুন রাখু
তু কি
হোলস্যা ভাবছ
হামাড়ে,
ইস্তেসনে উ মাগী চারখান লেন্ডিগেন্ডি
লিয়ে বসে
ছিল ।
কোলের টার
নাখ দিং
রস্যানি গড়ছে
উ টো
হাতে টেনে
লিয়ে পাছায়
মুছ্লে...
আর একটা
ভ্যান ভ্যান
কড়ে কাইন
ছিল উটার
ও নাখ
টেনে লিয়ে
পাছায় মুছ্লে... আর
দুটার নাখের
টাও পাছায়
মুছ্লে ... এরপর
অর নিজের
নাখের টাও
মুছ্লে ... অই
দ্যাখে আমাড়
ও নাখ
থেকে পুট্যাঁ বাহির
হলও।
অর পাছায়
মুছে দিল্যাম।”
সাধে কি শ্যালারে হ্যালসা বলি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন